শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২০:১৫

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় একাধিক পরিবারের পানির বিল সমন্বয় করা হয়েছে : সহকারী প্রকৌশলী

কামরুজ্জামান টুটুল
হাজীগঞ্জ পৌরসভায় একাধিক পরিবারের পানির বিল সমন্বয় করা হয়েছে : সহকারী প্রকৌশলী

হাজীগঞ্জ পৌরসভার একক ও একাধিক পরিবারের মধ্যে পানির বিল সমন্ময় করা হয়েছে । পৌরসভার থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। পানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অপ-প্রচার চলছে তাতে কান দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পৌরবাসীকে জানানোর জন্য রোববার হাজীগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীদের অবহিত করেছেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়-নিস্বাশন) মো. মাহবুবর রশিদ।

এদিন পৌরসভার সামনের বাগানে সংবাদর্মীদের মাঝে পানির বিল বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পৌরসসভার এই প্রকৌশলী।

এ সময় মাহবুবর রশিদ বলেন, পানির বিল বৃদ্ধি নয়, এক পরিবার এবং একাধিক পরিবারের মধ্যে বিল সমন্বয় করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভা কোনরূপ পানির বিল বাড়ানো হয়নি বরং পরিবার প্রথা চালু করা হয়েছে মাত্র। আমাদের পাশের পৌরসভাগুলো বহু পূর্ব থেকে এই পরিবার প্রথা চালু করে।

এ সময় তিনি উদাহরন হিসেবে বলেন, প্রতি পরিবারে চৌমুহনী পৌরসভায় পানির বিল ২৫০ টাকা, লক্ষীপুর পৌরসভায় ৩৮০ টাকা, চাঁদপুর পৌরসভায় ১০০ এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ১০০ টাকা। হাফ (আধা) ইঞ্চি সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ৩০০ টাকা, লক্ষীপুর পৌরসভায় ৪২০ টাকা এবং চৌমুহনী পৌরসভায় ৩০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ২০০ টাকা। ৩/৪ সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ৪০০ টাকা, লক্ষী পৌরসভায় ৫৮০ টাকা এবং চৌমুহনী পৌরসভায় ৬০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৩০০ টাকা। চাঁদপুর পৌরসভা প্রায় ১০ বছর আগে এই প্রথা চালু করে।

অপর দিকে ১ ইঞ্চি সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ৫০০ টাকা, লক্ষীপুর পৌরসভায় ৮০০ টাকা এবং চৌমুহনী পৌরসভায় ১১০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৫৫০ টাকা। ১.৫ (দেড় ইঞ্চি) সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ২০০০ টাকা, লক্ষীপুর পৌরসভায় ১৬০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৮০০ টাকা।

মাহবুবর রশিদ আরো বলেন, ২০১১ সালের পর অর্থ্যাৎ গত ১২ বছরে পানির বিল বৃদ্ধি করা হয়নি। এই ১২ বছরে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে কয়েকবার। বিদ্যুৎ বিলের সাথে পানির বিল বৃদ্ধি করার কথা কারণ, বিদ্যুৎ ছাড়া পানি উৎপাদন সম্ভব নয়। কিন্তু জনবান্ধব মেয়র পৌরবাসীর কথা চিন্তা করে তিনি পানির মূল্য বৃদ্ধি করেননি। যার ফলে পৌরসভার রাজস্ব থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তিকি দেয়া হয়েছে।

এ বছর হাজীগঞ্জ পৌরসভা পানির বিল বৃদ্ধি না করে একক ও একাধিক পরিবারের সাথে সমন্বয় করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতদিন একটি পরিবারের যদি ৩০০ টাকা বিল দিতেন, তাহলে একজন বাড়িওয়ালাও ১৫ টি/ ১০ টি কিংবা ৫টি ফ্লাট ভাড়া দিয়ে একই বিল দিতেন। অথচ এমনও বাড়িওয়ালা রয়েছেন, যেখানে একাধকিসহ পরিবারসহ ৫/১০/২০-৪০টি পরিবার ভাড়া থাকেন। এতে করে হাজীগঞ্জ পৌরসভা বড় অংকের আয় থেকে বঞ্চিত হতো। তাই পৌরসভা পানির বিল বৃদ্ধি না করে পরিবার প্রতি সমন্বয় করেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পৌরসভার বার্ষিক সাধারণ সভা এবং মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের দ্বিতীয় মেয়াদের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্যানেল মেয়র-১ ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারী, কাউন্সিলর মোহাসীন ফারুক বাদল, মো. শাহআলম, মাইনুদ্দিন মিয়াজীসহ অন্যসকল পৌর কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন উচ্চমান সহকারী আব্দুল লতিফ ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম প্রমূখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়